
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ মানুষের পাশাপাশি কেড়ে নিয়েছে ফসলি মাঠের প্রাণ। মৌসুমী শস্যের পরিবর্তে ইউক্রেনের কৃষিক্ষেতগুলোতে এখন রকেট আর কামানের গোলা। ধ্বংস হয়েছে বহু কৃষি সরঞ্জাম।
তবুও শত প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে সোনালী ফসল ফলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন ইউক্রেনীয় কৃষকরা। শস্যক্ষেতে ফসলের পরিবর্তে রকেটের গোলা। ছড়িয়ে আছে কামানের শেল। বিস্তৃর্ণ ফসলি মাঠে কেবলই শূন্যতা। অকেজো হয়ে পড়ে আছে কৃষিকাজে ব্যবহৃত মেশিনগুলো। শস্যগুদামগুলোর ভুতুরে অবস্থা।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে ইউক্রেনে কৃষি ব্যবস্থা। এতে তাৎক্ষণিক ক্ষতিতে পড়েছেন দেশির বহু কৃষক। ইউক্রেনীয় কৃষক মিখালো পেরোশেঙ্কো বলেন, ’কৃষি সরঞ্জাম নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মেশিনই যুদ্ধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। আমরা মাঠে ফিরেছি ঠিকই। কিন্তু ফসল উৎপাদনের কোন পরিস্থিতি নেই।’
এতসব বাধা উপেক্ষা করে আবারো মাঠে ফিরেছেন ইউক্রেনীয় কৃষকরা। যতটুকু সম্বল অবশিষ্ট আছে, তা দিয়েই ফসল ফলানোর চেষ্টা তাদের। ইউক্রেনীয় ট্রাক্টর চালক আলেকসান্ডার বিজুলি বলেন, ‘পুরো মাঠই গোলার কারণে গর্তে ভরা। প্রথমে কামানের শেলগুলো সরাচ্ছি আমরা। এরপর চাষের মাধ্যমে বীজ বপনের চেষ্টা করছি। এছাড়া আমাদের আর কি উপায় আছে? ’
অন্যান্য শষ্যের পাশাপাশি ইউক্রেন গম, ভূট্টা, সূর্যমুখীর অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রতি মাসে বিশ্বেজুড়ে ৬০ লাখ টনের বেশি শষ্য রফতানি করতো ইউক্রেন।
বিশ্বের মোট শস্যের ১৬ শতাংশই যোগান দেয় কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় এই দেশটি। কিন্তু যুদ্ধের কারণে রফতানি মারাত্মক বাধাগ্রস্থ হওয়ায়, এরইমধ্যে তা বৈশ্বিক খাদ্য সরবারহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।