
চলমান যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনেরই জয় হবে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে কিয়েভে অভিযান সমাপ্তের কোন ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এ অবস্থায় যুদ্ধের শততম দিনে জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেনে কোন পক্ষই শেষ হাসি হাসতে পারবে না। এদিকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ।
গেল ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ। এ সংঘাতের ১০০তম দিন ছিল শুক্রবার।
আঞ্চলিক স্বার্থ আর আধিপাত্য বিস্তার কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য বিশ্বশক্তিগুলো। এসেছে পরমাণু হামলার হুমকিও।
এ অবস্থায় যুদ্ধের শততম দিনে এসে জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেনে কোন পক্ষই জয়ী হতে পারবে না। তবে জয়ের বিষয়ে পূর্ণ আশা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনী প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেবে না রাশিয়া। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় দাবি সংখ্যাটি ৩ হাজারের বেশি না। অন্যদিকে কিয়েভের দাবি, তারা হত্যার করেছে ২০ হাজারের বেশি রুশ সেনা। যদিও মস্কো নিজেদের ১৩শ’ সেনা নিহতের কথা স্বীকার করেছে।
তবে বিশ্বশক্তিগুলোর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বরাবররে মতো সবচে’ বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৫ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষের। যদিও এ সংখ্যা আরো বেশি বলে দাবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ইউক্রেনীয় ছাড়াও এ যুদ্ধে এক বাংলাদেশিসহ নিহত হয়েছেন ৩৪ বিদেশী নাগরিক। এছাড়াও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ ইউক্রেনীয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে সংঘাতের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বহু সংবাদকর্মী। এতে প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত ১৮ সংবাদিকের।